SMRITIR ALINGONE | BENGALI STORY

 স্মৃতির আলিঙ্গনে

লেখায়: তামান্না তাসনীম


"আজ আমার জন্মদিন। কত বেলা হয়ে গেল,অথচ কেউ আমাকে এখনো শুভেচ্ছাটুকু পর্যন্ত জানালো না! "বিষণ্ণ হয়ে একান্ত আপন মনেই কথা গুলো বলছিলো আড়াল। ও এরকমই। বড্ড অভিমানী আর চাপা স্বভাবের। কিছুতেই মুখ ফুটে মনের জমিয়ে রাখা ক্ষোভ, দুঃখ, অভিমান কাউকে বলবে না।

smritir alingone


যদিও ওর চোখ মুখে অভিমানী রূপ ঠিক ফুটে ওঠে। সে যাই হোক, আড়ালের আজ ১২তম জন্মদিন। তবে এবারের  জন্মদিন অন্য বারের থেকে একটু আলাদা। সম্প্রতি আড়ালের একটি ছোট ভাই হয়েছে। এতদিন আড়াল ছিল তার বাবা-মায়ের একমাত্র সন্তান। এখন তো সে আর একা নেই আরেকটি ভাই রয়েছে। দায়িত্ব ও বয়স উভয় দিক দিয়েই তার এখন পরিবর্তন হয়েছে। সে ভাবছে হয়ত এখন আর তার জন্মদিন আগের মতো পালন করা হবে না, তাকে আর আগের  মতো ঘিরে থাকবে না কেউ। এসব ভেবেই সে এত বেলা কাটিয়ে দিল। সন্ধ্যাবেলা তার বাড়ির সবাই মিলে তাকে সারপ্রাইজ দিবে বলে পরিকল্পনা করে রেখেছে। যথারীতি আড়াল প্রতিদিনের মত আজও দুপুরের পর ঘুমিয়েছে। ঘুম থেকে উঠে আসলে সবাই সমস্বরে তাকে দেখে "শুভ জন্মদিন" বলে শুভেচ্ছা জানায়। তারপর এক এক করে কেক কাটা, খাওয়া-দাওয়ার পর্ব শেষ হয়। রাতে আড়াল খুব অন্যরকম একটা খুশি মন নিয়ে ঘুমানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। কারণ তার সংশয় দূর হয়েছে। কিছুদিন পর তার বার্ষিক পরীক্ষার ফলাফল ঘোষণা করা হয়। শুরু হয় নতুন শ্রেণীতে ভর্তি হওয়ার কার্যক্রম। এভাবেই কালের ধারাবাহিকতায় পেরিয়ে যায় কয়েকটি বছর। আড়াল এখন নবম শ্রেণীতে পড়ছে। বেশ কিছুদিন ধরেই তার মন অন্যমনস্ক হয়ে থাকে। সবকিছু ভুলে যায়, উদাসীনতা যেন এখন তার নিত্যদিনের সঙ্গী। বয়োজ্যেষ্ঠদের মুখে শোনা যায়, আড়ালের এই বয়সটা নাকি মোটেও ভালো নয়। এই বয়সে নাকি ছেলেমেয়েরা চোখে রঙিন চশমা পরে থাকে। যাকে বলে বয়সের দোষ। আড়ালের মা বাবা অবশ্য আড়াল কে কখনো এসবের জন্য জেড়া বা সন্দেহ করেন না কখনোই। তারা বিশ্বাস করেন তাদের মেয়ে কখনো এমন কাজ করবে না। আড়ালও নিজেকে নিয়ে অন্তত এই বিশ্বাস স্থাপন করে। কিন্তু পৃথিবীর সবকিছু যে মানুষের বিশ্বাস, ভরসা আর ইচ্ছা - অনিচ্ছা অনুযায়ী হয় না। মানুষের মনও তাদের নিজেদের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে। তাই হয়তো আজ আড়াল ও নিজের মনকে হাজার চেয়েও নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। ইদানিং মাহির ভাইয়ার কথা আড়ালের প্রায়ই মনে পড়ে। মাহির আড়ালের দূরসম্পর্কের চাচাতো ভাই হয়। মাহিরের সাথে তার প্রায় বছর তিনেকের বেশি সময় ধরে দেখা হয় না। মাহির এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। তার বাবা কর্মসূত্রে ঢাকা শহরে থাকলেও মা ও ভাই গ্রামের বাড়িতে। সে যাইহোক, অাড়াল আনমনে বসে আছে জানালার গ্রিল ধরে। রাতের আঁধারে হাজারো নক্ষত্র যেন আলোড়ন সৃষ্টি করছে। আড়ালের কাছে সবকিছু যেন কেমন অদ্ভুত লাগছে। সে বুঝতে পারছে না কেন তার সাথে এমন অলৌকিক ঘটনা ঘটছে। আজ তার বাবার ফোনে অপরিচিত একটি নাম্বার থেকে ফোন এসেছিলো। ফোনটা সে নিজেই তার বাবাকে গিয়ে দিয়ে এসেছে। অথচ সে জানতো না যে ফোনটা ছিলো মাহিরের। কিভাবে সম্ভব? এতদিন ধরে আমি যার কথা দিবারাত্র মনে করছি সেই আজ ফোন  দিলো। আর সেই ফোন কল আমি নিজের অজান্তেই ধরেও বুঝতে পারলাম না। আনমনে জানালার ধারে বসে এসব কথাই ভাবতে থাকে আড়াল। মনের টান থাকলে হয়তো এরকমই হয়। ঠিক ৪/৫ দিন পর আড়াল জানতে পারল মাহির ভাইয়া আসছে। অাড়াল তো খুব উৎকণ্ঠা নিয়ে বসে আছে। "কি জানি এত বছর পর মাহির ভাইয়া দেখতে কেমন হয়েছে হয়তো খুব বড় হয়ে গেছে আমাকে চিনতে পারবে কি এত বছর পর দেখে?"- আড়াল ভাবছে। বিকেল চারটা বাজে। কলিংবেলের আওয়াজ শোনা যায়। 

একটু পরপর যে কে  আসে?

-কে?

-আমি

-আমি কে?

এই বলে একটু বিরক্তের স্বর নিয়ে দরজা খুলতে যাচ্ছে আড়াল। তার বিরক্তির কারণ আছে কিছুক্ষণ পরপর কেউ না কেউ আসছে। সেই শব্দেই আড়ালের বিরক্তির সৃষ্টি হচ্ছে। দরজা খোলা মাত্রই ওপার থেকে একটি কণ্ঠ ভেসে আসছে।

-আমি মাহির।

কণ্ঠটি শুনে মোটামুটি থমকে গেল আড়াল। এত বছর পর চেনা মানুষের কন্ঠের পরিবর্তন শোনা যাচ্ছে। আজ যেন আড়ালের খুব আনন্দের দিন। কিন্তু অাড়াল নিজেও বুঝতে পারছে না  তার অতি আনন্দিত হওয়ার কারণ। মাহির কি শুধুই তার ভাই নাকি চেনা সম্পর্কের অাড়ালেও অচেনা সম্পর্ক বাসা বাঁধতে চলেছে। এভাবেই চলতে থাকে দিনের পর দিন। আড়ালও আবেগের জোয়ারে ভেসে মাহিরের সাথে দিনের-পর-দিন পর দিন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলে মাহিরের পছন্দ-অপছন্দের কথা জানতে থাকে। মাহির কিন্তু মনে মনে ঠিক বুঝতে পারছে আড়াল  তাকে ভালবেসে ফেলেছে। মাহির তাকে ভালো না বাসলেও তাকে নিয়ে বাঁধতে চলেছে মিথ্যার মায়াজাল। মাহির চায় আড়াল নিজের মুখে স্বীকার করুক সত্যিটা, কিন্তু আড়াল ও যে মনে মনে স্থির করে নিয়েছে, "আমি কোনদিনও সত্যিটা বলবো না। সত্যি কথাটি জানতে পারলে যদি মাহির ভাইয়া আমার সাথে আর কোন কথা না বলে।" অহনা যদিও তাকে বারবার বলে যে সত্যিটা মাহিরের কাছে স্বীকার করতে, সে তবুও জেদ ধরে বসে যে মাহিরের কাছে সে কখনো সত্যটা স্বীকার করবে না। অহনা আড়ালের প্রিয় বন্ধু। আড়ালের জীবনে এমন কোন কথাই নেই যা অহনা জানেনা। ব্যক্তিগতভাবে অহনা মাহির কে পছন্দ না করলেও বন্ধু আড়ালের জন্য মাহির কে তার সহ্য করতে হয়। আড়াল ভাবে এই সম্পর্কের হয়তো কোনো পরিণতি নেই। মাহির হয়তো কোনদিন জানতে পারবে না তার প্রতি আড়ালের অনুভূতির কথা। আড়াল যদিও চায়না যে সেটা মাহির জানতে পারুক। তবে আড়াল চায় তার জীবনের সবচেয়ে প্রিয় মানুষের কাছে তার দেয়া একটি উপহার থাকুক। তবে এই উপহারটি যে তার জীবনে অবিনাশী ছায়া নামিয়ে আনবে এটা ছিল আড়ালের ধারণাতীত। মাহির কে দেওয়া উপহারটি ছিল ছবি রাখার একটি ফ্রেম। মাহিরের স্বপ্ন হয়তো এবার পূরণের পথে। এই উপহারের নাম করেই মাহির কৌশলে আড়ালের মুখ থেকে শিকার করিয়ে নিল তার প্রতি আড়ালের অনুভূতির কথা। মূলত আড়ালের অনুভূতির কথা জানার জন্য মাহির এতটাই জেদি হয়ে উঠেছিল যে কৌশলে আড়ালের প্রতি তার মিথ্যা অনুভূতি বা ভালোবাসার কথা বলতেও সে পিছপা হয়নি। আড়াল কিন্তু সরল মনে মাহিরের প্রতিটি কথাই বিশ্বাস করে যায়। মাহির ও  অপরদিকে এই বিশ্বাস ও ভালবাসার অপব্যবহার করে দিনের পর দিন মিথ্যা প্রেমের মায়াজাল বুনতে থাকে। কিছু মানুষ প্রকৃতপক্ষে এরকম স্বভাবের হয়ে থাকে। যারা কিনা চাওয়ার আগেই অতি মূল্যবান কিছু পেয়ে যায় তারা সেটার মূল্য বুঝবে কি করে! যাইহোক এভাবেই মাহিরের বোনা মিথ্যে প্রেমের মায়াজালে যখন সম্পূর্ণভাবে জড়িয়ে যায় আড়াল, ঠিক তখনই মাহির নব উদ্যোগ নিতে চলেছে আড়ালের সাজানো স্বপ্নের ধ্বংসাবশেষ তৈরি করতে। আড়াল যদিও কোনদিনই মাহিরের কাছ থেকে কোনোকিছু প্রত্যাশা করে নি, মাহিরের প্রতি তার ছিল এক নিঃশর্ত ভালোবাসা। যে ভালোবাসা ছিল পবিত্র, যেখানে কালি বা দাগের ছিটেফোঁটাও ছিলো না। মাহির সেই অপ্রত্যাশিত ভালোবাসায় মিথ্যা সংসার সাজানোর স্বপ্ন দেখিয়েছিল আড়ালকে। আড়াল মাহিরকে ভরসা করত বলেই হয়তো সেই সাজানো স্বপ্নের সমান অংশীদার হতে চেয়েছিল। সেটাই ছিল আড়ালের করা সবচেয়ে বড় ভুল। তবে আড়াল কেউ কি প্রকৃত অর্থে দোষী সাব্যস্ত করা যায়। সে কি সত্যিই ভুল করেছিল বিশ্বাস করে, ভালবাসার উপর ভরসা করে। তাই যদি হয়ে থাকে কাউকে নিঃস্বার্থভাবে ভালোবাসাটা  অন্যায়। মাহির হয়ত কোনদিনই চাইনি আড়ালের ভালোবাসায় সাড়া দিতে। তাই সে নিজের তৈরিকৃত মিথ্যা সাজানো মায়াজাল থেকে নিজেকে বিরত করার জন্য অজুহাত খুঁজছিলো। একদিন এক নিরাল দুপুরে আড়াল কে সে জানায়, সে এই সম্পর্কের থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। তার ধারণা তার বাবা মা কখনো আড়াল কে মেনে নিবেন না। আরো জানায়, তার ছোটভাই অাহিরও পড়ালেখা, ক্যারিয়ার নিয়ে খুব একটা সচেতন নয়। তাই সে তার বাবা-মায়ের একমাত্র আশা, যে কিনা একটি সফল ক্যারিয়ার গড়ে তুলে তাদের শেষ বয়সে একটু হলেও তাদের দেখাশোনা করবে সেবা যত্ন করবে। এসব যদিও মাহিরের অজুহাত, তবু আড়াল যেহেতু মাহিরের সকল কথা সরল মনে বিশ্বাস করে তাই এবারও তার ব্যতিক্রম হয়নি। মাহিরের সব কথা আড়াল সরল মনে বিশ্বাস করে নিল। তাই সেদিন সারারাত অনেক চিন্তা, ভাবনা করার পর সে সিদ্ধান্ত নিল সে মাহিরের জীবন থেকে সরে দাঁড়াবে। মাহির যখন তার কথা ভেবে এত চিন্তিত থাকে, যে তার বাবা-মা তাকে মেনে নিবে না সেখানে আড়াল মনে করে, সে চায়নি তার জন্য কেউ দুশ্চিন্তায় পড়ুক সারাক্ষণ বিষন্ন থাকুক চিন্তায়। আর সেই কেউ একজন যদি মাহির হয় তাহলে তো আড়াল কোনোদিনও নিজেকে ক্ষমা করতে পারবেনা। পরের দিন আড়াল নিজের মুখে বলে, "আমি এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চাই।" মাহির অবশ্য একথা শুনে মনে মনে বেশ খুশিই হয়েছিল। তাই উত্তরে শুধু "ঠিক আছে" বলে সেও বেরিয়ে আসে সম্পর্কের থেকে। আড়াল শুধু ভাবছিল মাহির হয়তো অভিমানে আর কিছু বলেনি। হয়তো ওই ঠিক আছে শব্দের মধ্যে অনেক না বলা কথা লুকিয়ে আছে। এসব ভাবতে ভাবতেই মাহিরের কত কথা যে উত্তরে এসেছে সেদিকে খেয়ালই করেনি আড়াল। মাহির বলেছে যে আড়াল নাকি স্বার্থপর, সে শুধু নিজের কথাটাই ভাবলো। মাহিরের কথা নাকি একবারও ভাবেনি, এরকম কিছু কথাই মাহির আড়ালকে জানিয়েছে। আড়াল অবশ্য তার প্রতিউত্তরে কিছু বলেনি। এভাবেই মনের মধ্যে কিছু চাপা অভিমান আর ক্ষোভ নিয়ে এক প্রকার দূরে সরে যায় আড়াল। কালের বিবর্তনে পেরিয়ে গেছে অনেক গুলো বছর। আড়াল আজ একজন সফল ব্যক্তিত্বসম্পন্ন মানুষে পরিণত হয়েছে। আড়াল এখন লেখিকা। লেখালেখির জগতে সে একজন সম্মানীয়া নারী। পড়ালেখায় ও তার অর্জিত  সাফল্য  অসামান্য। সে সম্প্রতি গ্ৰ্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেছে। সাফল্যের স্বর্ণশিখরে সে পূর্ণ মাত্রায় পৌঁছে গেছে। তবে জীবনের এত সফলতার ভিড়েও সে আজ ও একজন মানুষকে ভুলতে পারেনি। পারবেই বা কী করে, আজ সে যা হয়েছে তার সবকিছুর জন্য যে সে ওই বিশেষ মানুষটির প্রতি খুব কৃতজ্ঞ। কিন্তু সে যে নিরুপায়,হয়ত আর কখনো সে ঐ মানুষটির কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করতে পারবেনা। কারণ সে এখন তার কাছ থেকে অনেক দূরে অবস্থানরত। গ্ৰ্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেই সে প্রবাসে চলে এসেছে। অন্যদিকে আড়াল যার কথা দিনরাত ভাবে সে আজ তার কৃতকর্মের জন্য প্রতিনিয়ত মাশুল গুনছে। মাহির এখন বিবাহিত, স্ত্রী আর দুই সন্তান নিয়ে তার পরিবার। তবুও তার জীবনে যেন আঁধার নেমে এসেছে। এই পর্যন্ত একটা চাকরিও সে দুই মাস এর বেশি সময় ধরে করতে পারে না।আড়াল তার জীবন থেকে চলে যাওয়ার পর মাহিরের জীবনে একের পর এক বিপর্যয় আসতে থাকে। মাহিরের বাবা প্যারালাইজড হয়ে ঘরে পড়ে রইলো। তাই মাহির তার পরিবারের সদস্যদের হাল ধরার জন্য পড়াশুনা ছেড়ে দিয়ে চাকরি খুঁজতে শুরু করে। কোনো জায়গা থেকেই চাকরি পাচ্ছে না মাহির। কারণ তার শিক্ষাগত যোগ্যতা অসম্পূর্ণ। অনেক খোঁজাখুঁজি করে কোনোরকম একটা চাকরি যদিও বা পেলো, তাতে বেতন খুব কম। পারিবারিক চিন্তা ও বাবার অসুস্থতার কারণে তাকে বিয়ে করতে হয়। শুরু হয়েছে তার জীবনের নতুন অধ্যায়। কিন্তু এখানেও তার শান্তি নেই। যাকে বিয়ে করেছে সে তথাকথিত শহরের সুন্দরী, শিক্ষিতা আর স্মার্ট মেয়ে। সে গৃহস্থালি কোনো কাজ করতে পারবেনা একথা প্রথমেই স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে মাহিরকে। এভাবেই দিন চলছে দিনের নিয়মে। মাহির এখন প্রতিমুহূর্তে উপলদ্ধি করছে তার জীবনে এত বিপর্যয় কেন নেমে এসেছে।আড়ালের প্রতি যে অন্যায় সে করেছিল তারই শাস্তি পাচ্ছে সে। কী অদ্ভুত না, মানবমন প্রকৃতি! সময় থাকতে সঠিক  ব্যবহার না করার জন্য পরবর্তীতে কী পরিমাণ মাশুল গুনতে হয়। আজ আড়াল যত দূরেই থাকুক না কেন, সে কিন্তু আজ ও মাহিরকেই ভালোবাসে, আর এভাবেই ভালোবেসে যাবে, স্মৃতিচারণ করে যাবে আজীবন।


Illustration by: pch.vector

Comments