Narkel Naru Recipe | In Bengali
নারকেল নাড়ু
আশ্বিন (কার্তিক) মাসে দুর্গাপুজোর পর কোজাগরী পূর্ণিমা তিথিতে কোজাগরী লক্ষ্মীপুজো সাধারণত অনুষ্ঠিত হয়। অনেক বাড়িতেই সারা বছর প্রতি বৃহস্পতিবার দেবীলক্ষ্মীর পূজা হয়। শস্য ও সম্পদের দেবী বলে ভাদ্র সংক্রান্তি, পৌষ সংক্রান্তি, চৈত্র সংক্রান্তি এবং আশ্বিন পূর্ণিমা ও দীপাবলীতে লক্ষ্মী দেবীর পূজা হয়।
কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার ভোগ হিসাবে খিচুড়ি, লাবড়া থাকে। সঙ্গে প্রসাদে ফল ছাড়াও নারকেলের নাড়ু, তিলের নাড়ু, মুড়ি ও মুড়কির নাড়ু থাকে। এছাড়াও লুচি, পায়েস, মিষ্টির নানা আয়োজন থাকে মা লক্ষ্মীর জন্য। পশ্চিমবঙ্গীয় রীতিতে এই দিন পুরো নিরামিষ খাওয়া দাওয়া হয় এবং চালের কোনো রান্না করা হয় না। যেহেতু লক্ষ্মীপুজোর এক বিশেষ উপাদান হল নাড়ু, আর তার যদি নারকেল ও গুড়ের তৈরী হয় তাহলে কোনো কথাই নেই।
কারণ কথাতেই আছে---
"হাতঘুরু ঘুরু গুরু নাড়ু দেবো
নইলে নাড়ু কোথায় পাবো,
সোনার নাড়ু গড়িয়ে দেবো।"
সোনার তো অনেক দাম তাই সোনার নাড়ু গড়ানোর দরকার নেই। তার থেকে বরং নারকেল নাড়ুই গড়াই ভালো।
তাই হাত দিয়েই নারকেল আর গুড় পাক দিয়ে বানিয়ে ফেলুন গুড়ের নারকেল নাড়ু।
বাজার থেকে নারকেল কিনে ভালোভাবে ধুয়ে সেটাকে দুটি টুকরো করে ভেঙে জল বার করে সেই জলটা আবার রেখে দিলাম মা লক্ষ্মীর পুজোয় ঠাকুরমশাইয়ের আনা দেবতা নারায়নের চরণ ধোয়ার জন্য।
এবার আসি মূল বক্তব্যে :-
নারকেল নাড়ু গড়ার পদ্ধতি:
উপকরণ -
১টা মাঝারি সাইজের নারকেল, ২০০গ্রাম গুড়
পদ্ধতি -
টুকরো করা নারকেল মালাটিকে নারকেল কুরানির সাহায্যে কুরে নিয়ে তার মধ্যে গুড় দিয়ে ভালোভাবে হাত দিয়ে মাখিয়ে নিয়ে গ্যাস ওভেনে বসিয়ে অনবরত নাড়িয়ে যেতে হবে যতক্ষণ না এই গুড় আর নারকেলের এই অনবদ্য জুটিটা ভালোভাবে মাখামাখি হয়ে যায়। তারপর হাত দিয়ে তুলে যখন দেখবেন পুরো দুজন দুজনের সাথে চিপকে গেছে কেউ কাউকে ছাড়ছেনা এবং আপনার হাতটাও ছাড়ছেনা তখনই বুঝে যাবেন সেটি সম্পূর্ণতা পেয়েছে। এবার আপনার দুটি হাতের চেটো তে নিয়ে পাকিয়ে ফেলুন গোল গোল করে হাত ঘুরু ঘুরু নারকেল নাড়ু।
অসংখ্য ধন্যবাদ তমন্না সরকার
Read - Hanuman Chalisa In Bengali
Thanks a lot at first lekha ta darun hoyeche 😍
ReplyDelete😛😛😛😋😋😋
ReplyDeleteDarun 👌👌❤️
ReplyDelete