Issue 8 | Social Issues | 09.08.2020 | Piprerdol.com

 


প্রিয় পাঠকবৃন্দ, 

হ্যাঁ, আপনাদের উদ্দেশ্যেই লেখা, আমি অনির্বাণ বিশ্বাস, বর্তমানে এই পত্রিকার সম্পাদক, আমাদের কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ এই সংখ্যাটি আপনাদের সামনে তুলে ধরা।
এবার আমরা ৮ নম্বর সংখ্যায় উপনীত হয়েছি, এবারের সংখ্যার নাম - "সামাজিক প্রতিবন্ধকতা"।

প্রথমেই যেটা বলা দরকার, এই বিষয়বস্তুর চিন্তাধারা দিয়েছে ঈশানি হোতা, যার জন্য আজ আমরা এটি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে পেরেছি। 
এটা ঠিকই যে এই লেখাটা হয়ত অনেকেই পড়বে না, তবুও লিখছি কারণ অনেক শিল্পীদের দ্বারা সৃষ্ট শিল্পে সমৃদ্ধ এবং একটু একটু করে উন্নত মানের গুণাবলীর সহিত তৈরী এই পত্রিকা হয়তো  কোনো খাতে সঠিক সমাদর পাবে না তবুও আমরা আমাদের যথাযথ চেষ্টা আজও চালিয়ে যাচ্ছি। 
আশা করি ভুলগুলো শুধরে নিয়ে আমাদের হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে যাবেন। 

অযথা লেখা এই নোট, যাইহোক যখন লিখতে হবে তাহলে লিখেই ফেলি।
এবারের "থিম" আর্ট ডিরেক্টর যখন আমায় বললো, ভাবতে বেশি সময় লাগেনি তৎক্ষণাৎ হ্যাঁ বলে দিয়েছিলাম। শুধু মনে হয়েছিল এটা এমন একটা বিষয় যার উপর একটা নোংরা পর্দা আছে যেটা সরানোর প্রয়োজন আছে। একটা থিম এর মাধ্যমে আমরা সমাজের এমন কিছু জিনিস এর তুলে ধরতে চাইছি যা আমাদের সবার সাথে মোটামুটি ঘটছে বলতে গেলে রোজকার জীবনে ফিরে আসছে বার বার বিনা অনুমতিতে। সোশ্যাল মিডিয়া যেমন দূরত্ব দূর করে তেমন অনেকের জন্য আবার ভিন্ন সমস্যার সৃষ্টি করে, এই ৪g এর যুগে একটা সেফটিপিন এর খোঁচা ও আজকাল যেহারে ছড়িয়ে পড়েছে বা ছড়ানো হচ্ছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখেনা। করো নিজস্ব গুরত্ব পূর্ণ ছবি ও যে হারে ভাইরাল হচ্ছে সত্যি বলতে আর নেওয়া যায়না। এই সোশ্যাল হ্যারাসমেনট আটকানোর পদ্ধতি মোটামুটি সবাই জানে কিন্তু সমস্যা হলো মাঝে মাঝে আমরাই ভুলে যাই সহজ কথাগুলি যাতে অনায়াসে প্রতিরোধ সম্ভব। ম্যাগাজিন এর ভেতরে রইলো এবার জাতিগত দ্বন্দ্ব, সোশ্যাল হ্যারাসমেন্ট, খাদ্য বৈষম্য ও আরো অনেক সামাজিক সমস্যা।

নিজে পড়ুন এটা নিয়ে একটু জানুন আর একটু শিক্ষিত মানুষ এর মতো ব্যাবহার করুন, শিক্ষা বলতে ডিগ্রি নয় ভেতর থেকে শিক্ষিত হোন। বুঝবেন তো না জানি, কিন্তু

সবকিছু যদি এখানেই বলে দেওয়া হয় তাহলে হয়তো মজাটাই নষ্ট হয়ে যাবে, কিন্তু আমরা চাই আপনি সংখ্যাটি যাতে মন থেকে পড়তে পারেন। 
আশা করি বিষয়বস্তু সম্বন্ধে এখন এক মস্ত ধারণা পেয়ে গেছেন; তো এবার একটু আমাদের সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই,

লেখা-লেখিতে - তাপস দাস
স্টোরি আর্টস - অনির্বাণ বিশ্বাস
হস্তশিল্পে - স্বর্ণালী মন্ডল
খাবার ও রেসিপি - নিবেদিতা মল্লিক
আর্ট ডিরেক্টর - ঈশানি হোতা
ফটোগ্রাফি ও সোশ্যাল মিডিয়া - স্মিতশ্রী পাল
ম্যাগাজিন ডিজাইন - দীপ্তশ্রী মন্ডল
ওয়েবসাইট - তাপস দাস
সম্পাদক - অনির্বাণ বিশ্বাস

এছাড়াও অনেকেই আছেন যারা হয়তো এখনও খুঁটিনাটি কাজ করে চলেছেন আমাদের সঙ্গে। আশা করি তাঁরা তাদের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে এই তালিকায় নাম লিখিয়ে যাবেন ভবিষ্যতে। 

আসা যাক তাদের দিকে যারা এবারের সংখ্যাটি পড়ে দুঃখ অনুভব করছে, কারণ তাদের কোনো শিল্প হয়তো এবারের সংখ্যায় স্থান পায়নি, তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলতে চাই যে, হয়তো একটুখানির জন্য মিস্ হয়ে গেছে, পরবর্তীকালে অবশ্যই আপনাদের শিল্প সমাদর পাবে আমাদের ম্যাগাজিনে।

আরো একটা কথা জানিয়ে রাখি যারা গল্প লেখেন আর খাবারের রেসিপি তৈরী করেন তাঁরা আর্টিকেল এর জন্য তাঁদের লেখা দিতে পারেন এবং যারা ফটো তোলেন, ছবি আঁকেন, হস্তশিল্প তৈরী করেন তাঁরা আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার জন্য এগুলো দিতে পারেন। একটাই অনুরোধ একটু সুযোগ দেবেন আমাদেরও হয়তো আপনার মূল্যবান শিল্প আমরা বুঝে উঠতে পারিনি। পরবর্তীকালে সেটাকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করবো। 

আপনাদের ভবিষ্যতের জন্য আমরা খুবই শুভকামী। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 
যাহ্, দেখতে দেখতে অনেকটা বড়ো হয়ে গেল, এবার ইতি টানা যাক,
যত দিন যাবে ততই অভিজ্ঞতা বাড়বে, অনেক নতুন জিনিস শিখব আমরা, তাই প্রত্যেকটা পদক্ষেপে আপনাদের মূল্যবান মতামত আমরা জানতে চাই। অবশ্যই আমাদের পাশে থাকবেন। জানি অনেক ভুল ত্রুটি হয়েছে যদি সেটাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন তাহলে বাধিত হব। কোনো কপিরাইটেড সামগ্ৰী আমাদের ম্যাগাজিনে পেলে জানাতে ভুলবেন না আমরা যথাশীঘ্র সম্ভব সেটাকে ঠিক করার চেষ্টা করব। তার সাথে আরো একটি কথা জানিয়ে রাখি যে কোনো সামগ্ৰী আমাদের অজান্তে অন্য কোথাও প্রকাশিত হলে আমরা বিশেষ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।
অনেকটা বলা হয়ে গেল, মনে করি এতটা যথেষ্ট। এভাবেই আপনাদের পাশে দেখতে চাই। রবিবারের এই সকালবেলা এক কাপ চায়ের সাথে দিনের শুরুতে ম্যাগাজিনটি পড়ুন, ভালো লাগলে অন্যদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিন। আর আপনাদের মতামত জানাতে ভুলবেন না। 

ইতি - 
পিঁপড়ের দলের এক পিঁপড়ে
অনির্বাণ বিশ্বাস




Comments