Issue 2 | Slum Society | 17.05.2020 | Piprerdol.com


প্রিয় পাঠকবৃন্দ, 

হ্যাঁ, আপনাদের উদ্দেশ্যেই লেখা, আমি অনির্বাণ বিশ্বাস, বর্তমানে এই পত্রিকার সম্পাদক, আমাদের কঠোর পরিশ্রমের ফলস্বরূপ এই সংখ্যাটি আপনাদের সামনে তুলে ধরা।
এবার আমরা ২ নম্বর সংখ্যায় উপনীত হয়েছি, এবারের সংখ্যার নাম - "বস্তির জীবন"।

প্রথমেই যেটা বলা দরকার, এই বিষয়বস্তুর চিন্তাধারা দিয়েছে ঈশানি হোতা, যার জন্য আজ আমরা এটি নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে পেরেছি। 
এটা ঠিকই যে এই লেখাটা হয়ত অনেকেই পড়বে না, তবুও লিখছি কারণ অনেক শিল্পীদের দ্বারা সৃষ্ট শিল্পে সমৃদ্ধ এবং একটু একটু করে উন্নত মানের গুণাবলীর সহিত তৈরী এই পত্রিকা হয়তো কোনো খাতে সঠিক সমাদর পাবে না তবুও আমরা আমাদের যথাযথ চেষ্টা আজও চালিয়ে যাচ্ছি। 
আশা করি ভুলগুলো শুধরে নিয়ে আমাদের হাতে হাত মিলিয়ে এগিয়ে যাবেন। 

এবার একটু বিষয়বস্তু সম্বন্ধে  কিছু বলি, বলতে গিয়ে একটা গান এর লাইন মনে পড়ে গেলো সেটা হলো
“শহর জুড়ে যেন প্রেমের মরসুম
আলোতে মাখামাখি আমার গ্রিন রুম”
অনুপম রায় এর এই গান টি আসা করি অনেকেই শুনেছেন। গানটির এই দ্বিতীয় লাইন টিতে গ্রিন রুম এর আলোর কথা বলা আছে, কিন্তু এই আলোর মাখামাখি যেমন শৌখিনতা জাস্টিফাই করে তেমন ব্যাঙ্গাত্মক মনে হয়, কারণ শহরে প্রচুর এমন লোক আছে যাদের মাথা গোজার একটা ঠাঁই নেই তাদের না আছে গ্রিন রুম না আছে আলোর মাখামাখি সেই ক্ষত্রে তো ব্যাঙ্গই হলো যাইহোক গান কথা ছেড়ে না হয় অন্য কথা বলি।
(সবাই কে বলছিনা) ১২০০ sqft. এর এপার্টমেন্টে থাকা লোকজনর কি যায় আসে? এসব বিষয়ে তাদের তো শুধু নিজের স্বার্থসিদ্ধির দিকে নজর, তার তো খেয়াল হয় না যে কাজের মাসি টিকে দুটো টাকা বাড়তি দিই, অথচ kfc তে গিয়ে পারলে ডাবল gst দিয়ে আসে। কেউ কি চায় এমন জায়গায় থাকতে যেখানের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর। তবুও তো থাকতে হচ্ছে সেটা হয়তো আমাদের মতো কিছু দায়িত্বজ্ঞানহীন মানুষ দের জন্য, মাঝে মাঝে মানুষ বলতেও বাধে, ওদের জীবনযাত্রা অনেক কঠিন ওখানে হয়তো স্বপ্ন দেখতে গেলেও লিমিটেশন চলে আসে, কিন্তু ওদের খুশি দেখে মাঝে মাঝে ঈর্ষা হয়। ওদের চাওয়া পাওয়া গুলো কতটা সাধারণ। একটা বাড়িতে অনিচ্ছা সত্ত্বেও অনেকের একসাথে বসবাস খারাপ ভালো শেয়ার করে নেওয়া। জল এর কষ্ট খাবার এর কষ্ট, পরনের কষ্ট কিসে কষ্ট নেই বলতে গেলে তাদের স্বচ্ছন্দ বলে কিছুই নেই। এত না পাওয়া তেও কিন্তু তারা হেরে যাচ্ছে না। যদি কোনো কিছু আমি করতে পারতাম তাহলে সেই দিনটি হয়তো আমার জীবনের শ্রেষ্ঠ একটি দিন হতো। কিন্তু সেভাবে তো কিছুই করতে পারিনি তাই ওদের জীবন যাপন একটু তুলে ধরার চেষ্টা করলাম এই সংখ্যার মাধ্যমে।
 
আশা করি বিষয়বস্তু সম্বন্ধে একটু ধারণা পেয়ে গেছেন; তো এবার একটু আমাদের সদস্যদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিই,

লেখা-লেখিতে - তাপস দাস
হস্তশিল্পে - অনুষ্কা রায়
খাবার ও রেসিপি - নবনীতা ধর
আর্ট ডিরেক্টর - ঈশানি হোতা
ফটোগ্রাফি - অনির্বান বিশ্বাস
সোশ্যাল মিডিয়া - অনির্বান বিশ্বাস
ম্যাগাজিন ডিজাইন - তাপস দাস
ওয়েবসাইট - তাপস দাস
সম্পাদক - অনির্বাণ বিশ্বাস

এছাড়াও অনেকেই আছেন যারা হয়তো এখনও খুঁটিনাটি কাজ করে চলেছেন আমাদের সঙ্গে। আশা করি তাঁরা তাদের দক্ষতার পরিচয় দিয়ে এই তালিকায় নাম লিখিয়ে যাবেন ভবিষ্যতে। 

আসা যাক তাদের দিকে যারা এবারের সংখ্যাটি পড়ে দুঃখ অনুভব করছে, কারণ তাদের কোনো শিল্প হয়তো এবারের সংখ্যায় স্থান পায়নি, তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথাই বলতে চাই যে, হয়তো একটুখানির জন্য মিস্ হয়ে গেছে, পরবর্তীকালে অবশ্যই আপনাদের শিল্প সমাদর পাবে আমাদের ম্যাগাজিনে।

আরো একটা কথা জানিয়ে রাখি যারা গল্প লেখেন আর খাবারের রেসিপি তৈরী করেন তাঁরা আর্টিকেল এর জন্য তাঁদের লেখা দিতে পারেন এবং যারা ফটো তোলেন, ছবি আঁকেন, হস্তশিল্প তৈরী করেন তাঁরা আমাদের সোশ্যাল মিডিয়ায় দেওয়ার জন্য এগুলো দিতে পারেন। একটাই অনুরোধ একটু সুযোগ দেবেন আমাদেরও হয়তো আপনার মূল্যবান শিল্প আমরা বুঝে উঠতে পারিনি। পরবর্তীকালে সেটাকে শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করবো। 

আপনাদের ভবিষ্যতের জন্য আমরা খুবই শুভকামী। ভালো থাকবেন, সুস্থ থাকবেন। 
যাহ্, দেখতে দেখতে অনেকটা বড়ো হয়ে গেল, এবার ইতি টানা যাক,
যত দিন যাবে ততই অভিজ্ঞতা বাড়বে, অনেক নতুন জিনিস শিখব আমরা, তাই প্রত্যেকটা পদক্ষেপে আপনাদের মূল্যবান মতামত আমরা জানতে চাই। অবশ্যই আমাদের পাশে থাকবেন। জানি অনেক ভুল ত্রুটি হয়েছে যদি সেটাকে ক্ষমা করে দিতে পারেন তাহলে বাধিত হব। কোনো কপিরাইটেড সামগ্ৰী আমাদের ম্যাগাজিনে পেলে জানাতে ভুলবেন না আমরা যথাশীঘ্র সম্ভব সেটাকে ঠিক করার চেষ্টা করব। তার সাথে আরো একটি কথা জানিয়ে রাখি যে কোনো সামগ্ৰী আমাদের অজান্তে অন্য কোথাও প্রকাশিত হলে আমরা বিশেষ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হব।
অনেকটা বলা হয়ে গেল, মনে করি এতটা যথেষ্ট। এভাবেই আপনাদের পাশে দেখতে চাই। রবিবারের এই সকালবেলা এক কাপ চায়ের সাথে দিনের শুরুতে ম্যাগাজিনটি পড়ুন, ভালো লাগলে অন্যদেরকেও পড়ার সুযোগ করে দিন। আর আপনাদের মতামত জানাতে ভুলবেন না। 

ইতি - 
পিঁপড়ের দলের এক পিঁপড়ে
অনির্বাণ বিশ্বাস






Comments